EK LADKI KO DEKHA TO AISA LAGA

নতুন বছর বেশ ভালো ভাবেই শুরু করেছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। ভালোবাসার মাসে এক অন্যরকম ভালোবাসার গল্প। বাকি আর পাঁচটা প্রেমের গল্পের মত এখানেও পরিবার আর সমাজের বাঁধন আছে আবার সব কিছু পেরিয়ে প্রেমের জয়ও আছে। কিন্তু গল্পের নাম শুনে মাথায় যেরকম চিন্তা আসবে সেটাকে দূরে রেখেই অন্যভাবে ভেবেছেন ছবির পরিচালক শেলী চোপড়া।

ছবি শুরু হয় সুইটি চৌধুরীকে (সোনাম কাপুর) নিয়ে যে পাঞ্জাব এর একটি শহরের ধনী কাপড় ব্যবসায়ীর (অনিল কাপুর) মেয়েকে নিয়ে যাকে এক বিয়ে বাড়িতে দেখে বিয়ের কথা তোলেন অনেকে। এরপর সুইটির আলাপ হয় এক উঠতি স্ক্রিপ্ট রাইটার সাহিল মির্জার (রাজকুমার রাও) সঙ্গে আর সাধারণ প্রেমের গল্পের মতোই সুইটিকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলে সে কিন্তু সুইটি সেরকম কিছুই ভাবেনি। না এটুকু পরে এটা ভাবলে হবেনা যে এটা সাধারণ মানের গল্প বা সেই পুরোনো বস্তাপচা প্রেমের গল্প। বরং এরপর থেকেই গল্প সাজানো হয়েছে নিখুত হাতে।

সুইটির দাদা বাড়িতে জানায় যে তার বোন প্রেম করে এক মুসলমান ছেলের সাথে এবং ঘটনাচক্রে বাড়ির লোক সাহিলকেই সেই ছেলে মনে করে। কিন্তু বাড়ি থেকে এক মুসলিম ছেলের সাথে সম্পর্ক মানতে পারেনা কেউই। তাই সুইটির বাবা বলবীর (অনিল কাপুর) মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দেবার চেষ্টা করতে থাকে কিন্তু মেয়ের সুখের কথা ভেবে অবশেষে সাহিলকে মেনে নিয়ে বিয়ে দিতে রাজি হলেও আসল সত্যিটা জানতে পারেন তখনই যে তার মেয়ে আসলে সাহিলকে ভালোবাসেনা, শুধুমাত্র সাহিল না সে কোনো ছেলেকেই ভালোবাসেনা বরং সে ভালোবাসে একটি মেয়েকে। এই কথা একমাত্র তার দাদা আর সাহিলই জানতো কারণ ছোটবেলা থেকে সে হেনস্থা হওয়ার বিয়ে এই কথা লুকিয়ে রেখেছিল আর জমিয়ে রেখেছিল তার ডায়েরিতে। সমস্যা হলো একটাই মুসলিম ছেলেকে মেনে নিলেও সমকামিতাকে মানতে পারেনা এখনো সমাজ।

বাকি প্রেমের গল্পের মত ভিলেনের সাথে ফাইট করে নায়িকাকে পাওয়ার গল্প এখানে নেই। তবে হ্যাঁ এই গল্প ট্র্যাজেডি নয় হ্যাপি এন্ডিং হবে এই গল্পের। আবেগ, কৌতুক সবই পাবেন এই ছবিতে। সব মিলিয়ে সিনেমা দেখার দু’ঘন্টায় কখনই বোর হবেননা। অনিল কাপুরের অভিনয় আবারও প্রমান করে যে আজকের যুগের সাথে তাল মিলিয়েও কিভাবে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যায়। সেইসঙ্গে তাল মিলিয়ে জুহি চাওলাও নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমান করেছেন। সোনাম কাপুরের অভিনয় স্বাভাবিক হলেও প্রেমের অভিনয় তিনি খুব একটা পারদর্শী নন সেটা বোঝা যাচ্ছে। এই ছবির অন্যতম সেরা প্রাপ্তি রাজকুমার রাও, তিনি যে ঠিক কত দক্ষ অভিনেতা সেটা আবারও বুঝিয়ে দিলেন। প্রতিটা মুহূর্তে তাঁর এক্সপ্রেশন দেখার মতন। পার্শ্বচরিত্র হোক বা নায়ক নিজের উপস্থিতি লোকের কাছে বারবার প্রমান করে দেয় যে তিনি দক্ষ অভিনেতা।

শেষে বলা যায় এই ছবি আসলে প্রেমের হলেও কিছু খামতি থেকেই গেছে কারণ বাবা মেয়ের সম্পর্কের গল্প বোঝাতে গিয়ে কোথাও যেন হারিয়ে গেছে সমকামী প্রেমের গল্প যা আসলে এই ছবির মূল বক্তব্য। তবে সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে কিছু বার্তা দিয়ে যাবে এই ছবি। তাই একবার সিনেমাহলে গিয়ে দেখে আসাই যায়
EK LADKI KO DEKHA TO AISA LAGA ।

× Join Us